[email protected] বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
৭ কার্তিক ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে গঠন করতে হবে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ৯:১৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই কেয়ারটেকার সরকারের আদলে রূপান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এ মুহূর্ত থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকার সরকারের ন্যায় নিরপেক্ষ ভূমিকা নিতে হবে। অর্থাৎ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বলতে যা বোঝায়— সেই তত্ত্বাবধায়ক কাঠামোর দিকেই তাদের অগ্রসর হতে হবে।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ এতে অংশ নেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগে সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলাম। তিনি আজ সন্ধ্যা ৬টায় সময় দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে রূপ দিতে হলে প্রথম শর্ত হলো প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। সচিবালয়ে এখনো যারা আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ক্ষেত্রেও একই দাবি জানিয়েছি— যেন নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।”

বিচার বিভাগের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিচার বিভাগের উচ্চপর্যায়েও এখনো আগের সরকারের প্রভাব রয়ে গেছে। সেসব প্রভাবমুক্ত করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ দিতে হবে। যদিও এটি বিচার বিভাগের বিষয়, তবুও প্রধান উপদেষ্টার সার্বিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমরা বিষয়টি তার কাছে তুলে ধরেছি।”

তিনি জানান, সরকারে যারা এখনো দলীয় আনুগত্যে কাজ করছেন, তাদের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। “আমাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল— একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা,” বলেন মির্জা ফখরুল।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করেছেন কি না— এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতারা কোনো উত্তর দেননি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর