আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরে তিনি ভোটে অংশ নেবেন।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই, তৃণমূলে সভা-সমাবেশ ও ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছে দলটি। পাশাপাশি, আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, জোটের মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে তারা ইতিবাচক। কতটি আসন ছাড় দেওয়া হবে, তা চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদিও আলাদা জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তবুও তাদের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রাখছে বিএনপি। নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দুই দলের মধ্যে এখন ঘন ঘন যোগাযোগ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে বাক্যযুদ্ধও বেড়েছে। এক দলের নেতারা অপর দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, আবার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আরও তীব্র মন্তব্য আসছে। তবুও দুই দলের রাজনৈতিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, এনসিপি ইতোমধ্যেই গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন দল—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি—এর পাশাপাশি এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছে। এসব দলের মধ্যেও নতুন জোট গঠনের গুঞ্জন রয়েছে। তবে জামায়াতের সঙ্গে জোটে যেতে অনাগ্রহী এনসিপি।
এনসিপির সিনিয়র দুই নেতা জানিয়েছেন,
“আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। বিএনপি বা জামায়াত কোনো জোটেই যাচ্ছি না। যদি নতুন কোনো জোট হয়, তাহলে সেটা এনসিপির নেতৃত্বেই হবে। আসন ভাগাভাগির রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।”
তবে দলটির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন,
“রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।”
বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন,
“এনসিপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। তারা আলাদা জোট করলেও, প্রয়োজনে তাদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা ইতিবাচক।”
এসআর
মন্তব্য করুন: