বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন- মির্জা ফখরুল

আমরা তো তোমাদের মার্কায় বাধা দিইনি, তাহলে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?” -এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৯৯০–এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে শহীদ জেহাদ স্মৃতি সংসদ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,

“কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল ধমক দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে—অমুক মার্কা না দিলে আমরা নির্বাচনে যাব না বা ওমুকের মার্কা থাকতে পারবে না। আমরা তো কখনো বলিনি তোমাদের মার্কা দেওয়া যাবে না। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?”

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন তাদের সে প্রতীক দিতে রাজি হয়নি। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠক শেষে জানান, দলটি ‘শাপলা’ প্রতীক না পেলে ‘ধান’ বা ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীক বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

ধানের শীষকে ‘অপ্রতিরোধ্য’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন,

“গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাবেন, সেখানেই মানুষ ধান লাগাও, ধান লাগাও বলছে। এ কারণেই ধানের শীষকে রুখে দিতে চায় অনেকে। কারণ, ধানের শীষ জয়ী হলে দেশের শত্রুরা পরাজিত হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন,

“মনস্টার শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পালায়নি, তাকে যেতে বাধ্য হতে হয়েছে। ১৫ বছরের লড়াই, ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা সেই ভিত্তি তৈরি করেছি।”

তিনি আরও বলেন,

“গণতন্ত্র গড়তে হলে পরিশ্রম, ত্যাগ ও জনগণের কাছে যেতে হয়। বিএনপি সেই দলের নাম, যারা গণতন্ত্রের জন্য মানুষের পাশে থাকে।”

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন,

“নির্বাচনের সময় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কোনো দলের কাছে মাথা নত করা চলবে না।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান। স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ অনেকে।