প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এ সময়সূচি সামনে রেখে বিএনপি পূর্ণোদ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।
দলটির সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ আসনের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশে সম্ভাব্য একক প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যে হাইকমান্ডের হাতে পৌঁছেছে। প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্ধারণ করেছেন স্পষ্ট কিছু মানদণ্ড— যেমন, আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ততা, ত্যাগ, সততা, এলাকায় জনপ্রিয়তা ও ক্লিন ইমেজ।
দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, আসনভিত্তিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে একক প্রার্থীদের অনানুষ্ঠানিক ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হতে পারে। এরপর তারা মাঠে প্রচারে নামবেন। তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
এরই মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নিজ নিজ আসনে প্রার্থীদের সাংগঠনিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে দেশি-বিদেশি সংস্থা, গণমাধ্যম ও দলের নিজস্ব টিমের মাধ্যমে অন্তত পাঁচ দফা জরিপ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতাদের মতে, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা নির্দেশনা অমান্য করলে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে নির্দেশনা দিয়েছেন— “দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।”
দলের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোকেও নির্বাচনে সঙ্গে রাখতে চায়। এজন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন ছাড় দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সহযোগী জোটগুলোর কাছ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছে; কয়েকটি দল তাদের প্রস্তাবিত তালিকাও জমা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত। একক প্রার্থীর তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
অন্যদিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচাই করে আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করব। খুব শিগগিরই একক প্রার্থীদের মাঠে কাজের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।”
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, অক্টোবরের মধ্যভাগেই নির্বাচনি মাঠ সাজানোর কাজ শেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: