[email protected] সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭ আশ্বিন ১৪৩২

ডাকসু নির্বাচনে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছি : আবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১:৩৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন নিজেকে ‘মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তুলে ধরেন।

আবিদ বলেন, “নির্বাচনে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য যে মার্কার পেন ব্যবহার করা হয়েছিল তা অস্থায়ী হওয়ায় একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দিতে পেরেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এছাড়া নির্বাচনের ব্যালটপেপার কোন প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে, সে তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ আড়াল করার সুযোগ নেই।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী সময় পর্যন্ত প্রশাসনিক নানা অসঙ্গতি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগকে এড়িয়ে যাচ্ছে। লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন আবিদ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনের চার দিন পর প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে পোলিং এজেন্ট বাছাই প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ছিল এবং সময়মতো আইডি কার্ড সরবরাহ করা হয়নি। ফলে অনেক কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের অনুপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদ ৫ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।

নির্বাচন-পরবর্তী এক ফেসবুক পোস্টে আবিদ লেখেন, “বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই। ইনশাআল্লাহ, এর প্রতিফলন আগামী ডাকসু নির্বাচনে দেখা যাবে। আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না।”

নিজের রাজনৈতিক যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “ক্ষুদ্র জীবনে এতদূর আসব কোনোদিন ভাবিনি। নির্বাচনের আগের রাতে খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন— পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই? আমি কোনো উত্তর দিতে পারিনি। কারণ কখনোই জানতাম না নিজেকে কোথায় দেখতে হবে। একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি, আর সেই পথই আজ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর