শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক:

জাতীয় নির্বাচন, এলডিসি উত্তরণ (গ্র্যাজুয়েশন) এবং শ্রমিক ইস্যু নিয়ে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, এমসিসিআই সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী ও নাসিম মনজুর, এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, প্রাণ গ্রুপের প্রধান আহসান খান চৌধুরী, বিকেএমইএ সভাপতি এমএ হাতেম, বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজেএমইএ মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী, ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।

নির্বাচনের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগে প্রভাব ফেলছে

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা আমির খসরু বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন। “নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তারা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন,” জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় দুটি বিষয় প্রধান হয়ে উঠেছে—এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও শ্রমিক ইস্যু। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মতামত আমরা শুনেছি। তাদের অভিজ্ঞতায় স্পষ্ট হয়েছে, তাড়াহুড়া করে এলডিসি উত্তরণ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সহায়ক হবে না। বরং কিছুটা সময় নেওয়া জরুরি।”

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং শ্রম আইন সংশোধন। ১২৪টি বিষয়ে আলোচনায় ১২২টিতে আমরা একমত হয়েছি। বাকি দুটি বিষয়ে বাস্তব কারণে মতৈক্য হয়নি।”

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু একটি শিল্পে যদি কয়েক হাজার শ্রমিক থাকে, সেখানে অসংখ্য রেজিস্ট্রেশন হলে শিল্প অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এতে প্রকৃত শ্রম অধিকারকর্মীরা পিছিয়ে পড়বেন, আর সুযোগ নেবেন অনাকাঙ্ক্ষিত গোষ্ঠী।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত চাই না, তবে সময় চাই। বাস্তবসম্মত সমাধান ছাড়া এটি আমাদের জন্য বড় সংকট তৈরি করবে।”