[email protected] বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২ আশ্বিন ১৪৩২

পিআর পদ্ধতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭:৩৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রস্তাবিত পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

তার ভাষায়, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। গণতন্ত্র মানে ভিন্নমত সহ্য করা ও প্রকাশের সুযোগ দেওয়া। দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোটের মত প্রকাশ ও কর্মসূচি চালানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতিকে সামনে এনে এটিকে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা গণতন্ত্রকে বিভ্রান্ত করার শামিল।”

তিনি দাবি করেন, জনগণের এ পদ্ধতির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। বরং এটি মানুষের পরিচিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ভোটাধিকার প্রয়োগের পদ্ধতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। “মানুষ চায় তাদের এলাকার পরিচিত প্রার্থীকে ভোট দিতে। তালিকাভিত্তিক অপরিচিত প্রার্থীদের নিয়ে ভোটিং সিস্টেম জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”

রিজভীর অভিযোগ, যখনই কোনো দল কোনো পদ্ধতিকে নিজেদের জন্য সুবিধাজনক মনে করে, তখন সেটিই জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতির পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে। উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বানচাল করা।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নেপাল ও ইসরায়েলের মতো দেশে পিআর পদ্ধতির কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এমনকি ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশেও এ নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। “বাংলাদেশের মতো অপরিণত গণতন্ত্রে এ পদ্ধতি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। যেমনটা ইভিএমের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।”

রিজভী বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথে থাকবে।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “পিআর পদ্ধতি নিয়ে যদি রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়, তবে এর মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনর্বাসনের পথ খুলে যাবে। এতে দেশে আবারও ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে।”

তিনি আহ্বান জানান, সব রাজনৈতিক দল যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং বিভ্রান্তিকর পদ্ধতি চাপিয়ে না দিয়ে বরং বাস্তবসম্মত ও জনগণকেন্দ্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা গঠনে মনোযোগী হয়।

এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর