বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
তবে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন না হলে দলটি ভোটে অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুগান্তর-এর সঙ্গে একান্ত আলাপে বলেন,
“আমরা চাই নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হোক। তবে ভোটের আগে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধান প্রণয়ন ও সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে না পৌঁছে এবং সংস্কার এড়িয়ে নির্বাচন করতে চায়, তার মানে তারা আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না।”
শর্ত পূরণ না হলে এনসিপির অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“আমরা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাই না। ডিসেম্বরেও হতে পারত, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে—আমাদের আপত্তি নেই। তবে নির্দিষ্ট শর্তগুলো পূরণ করতেই হবে। যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, তারা মূলত সংস্কার প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে যাচ্ছে—এটাই উদ্বেগজনক।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন,
“কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা নেই নির্বাচন ঠেকানোর। নির্বাচনের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। তারা ব্যর্থ হলে সেটাই প্রশ্নের জন্ম দেবে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার—সংবিধান সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বাচন সময়মতো আয়োজন করতে হবে।”
এনসিপির দাবি, লিখিত নতুন সংবিধান প্রণীত হলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তবে যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে নির্বাচন আয়োজন ও তার সুষ্ঠুতা কতটা নিশ্চিত হচ্ছে—সেদিকেই দলটির দৃষ্টি থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: