জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা একটি স্পষ্ট বার্তা।
তিনি বলেন, “সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও নুরের মতো হতে পারে।”
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে এনসিপি আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনসিপির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি আয়োজিত এ বৈঠকে গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিকে তুলে ধরা হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,
“তারেক রহমানকে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে, খালেদা জিয়াকেও নৃশংস পরিণতির শিকার হতে হয়েছে। যদি আমরা নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি, আমাদের ভাগ্যও ভিন্ন হবে না। এই নিয়ম পরিবর্তনের নামই সংস্কার। এজন্য সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তথাকথিত ‘সেইফ হাউজে’ আটকে রাখা হয়েছে। “এই নির্মমতা থেকে দেশের মানুষ এখনো মুক্তি পায়নি,” বলেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৯৭১ পূর্ববর্তী অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে যেসব দমন-নিপীড়ন হয়েছে তারও জবাবদিহিতা প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ না হলে তারা আবারও একই দমননীতির শিকার হবে।”
সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,
“২৪ পরবর্তী সময়ে আমরা আর কোনো সহিংসতায় ফিরতে চাই না। কারণ সহিংসতা গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আওয়ামী তরিকা রাজনীতি বাদ দিয়ে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের বলা হয় আমরা নির্বাচনবিরোধী। কিন্তু আমরা বলছি, শুধু নির্বাচন নয়—বিচার ও সংস্কারও প্রয়োজন। পুলিশ যাতে বিনা মামলায় কাউকে তুলে নিতে না পারে, গ্রেপ্তারের পর পরিবারকে যাতে জানানো হয়—এসবের সুরাহা কি হয়েছে? হয়নি তো! এ কারণেই আমরা বলছি সংস্কার জরুরি।”
এ সময় তিনি এনসিপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে সরকার গঠনের লক্ষ্যে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সাইফ মোস্তাফিজ ও ডা. মাহমুদা মিতা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
এসআর
মন্তব্য করুন: