আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং জুলাই গণহত্যার আসামিদের গোপনে জামিনে মুক্তির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ জোট ‘জুলাই ঐক্য’।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শিক্ষাভবন প্রদক্ষিণ করে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুস্পষ্ট ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও জুলাই গণহত্যার আসামিদের গোপনে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নির্দেশেই এ জামিন দেওয়া হয়েছে, যাতে অভিযুক্তরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে।
বক্তারা বলেন, “আইন উপদেষ্টাকে ‘র’-এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য উপদেষ্টা করা হয়নি। শহীদদের রক্ত ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান জানিয়ে তাকে মসনদে বসানো হয়েছে—বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।”
তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী আসামিদের গ্রেফতার না করে বরং তাদের সেফ এক্সিট দিয়ে পালাতে সহযোগিতা করছেন। এ সময় বক্তারা গণহত্যার সহযোগী এই দুই ব্যক্তিকে অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
জুলাই ঐক্যের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “গণহত্যাকারীদের জামিন দেওয়া হলে এবং আহত যোদ্ধাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত না হলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর হলেও কোনো দৃশ্যমান বিচার হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, শহীদ পরিবারের মামলাগুলো জামিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এবং আহত যোদ্ধাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সমাবেশে বিএনপির এক নেতাকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, “জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচালের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে।” তারা সতর্ক করে বলেন, “জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য সংগঠন শহীদদের রক্তের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে—তাদের অবমাননা সহ্য করা হবে না।”
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন—
এসআর
মন্তব্য করুন: