ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নিয়ম ভঙ্গ করে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে আলোচনায় আসেন ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত রবিবার গভীর রাতে তিনি হলে প্রবেশ করেন, যা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
উমামা ফাতেমা বলেন, “আমি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছি, এজন্য হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। তবে আমি রাত দেড়টায় আসিনি—আমি হলগেট রাত ১০টার আগেই প্রবেশ করেছি। রাত দেড়টায় প্রবেশ করার বিষয়ে যে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে আমি হলে গিয়ে ভোট চেয়েছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাকে অপরাধী সাজিয়ে ফেসবুকে বিচার বসানো হয়েছে। এসব অপপ্রচার নির্বাচনী পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য।”
উমামা ফাতেমা জানান, ঘটনার পর তিনি নিজেই রোকেয়া হলের প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন এবং লিখিতভাবে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আসলে এক হলের শিক্ষার্থীর অন্য হলে যাওয়া কোনো অপরাধ নয়। অতীতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মবহির্ভূত হলেও অন্য হলে গিয়েছেন। অথচ আমার ক্ষেত্রে এটি অযথা বড় করে দেখানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রচারণা মেয়েদের চলাচলের স্বাধীনতাকে সীমিত করার সামিল।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে উমামা ফাতেমা আরও বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে এমন ব্যবস্থা নেব যাতে এক হলের ছাত্রী অন্য হলে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: