[email protected] মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

আগামী নির্বাচনে জনগণ ও সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ আগষ্ট ২০২৫ ৭:৪৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ এবং সেনাবাহিনীই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই দেশের জনগণই ইতিহাস সৃষ্টি করবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানই এখন সবার প্রত্যাশা।”

সালাহউদ্দিন জানান, পুলিশের বর্তমান কাঠামোয় বড় পরিবর্তন সম্ভব নয়, তবে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, “বিজিবি, আনসারসহ প্রশিক্ষিত বাহিনী যুক্ত হবে। সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের এক লাখ সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের ইচ্ছাই এবার সবচেয়ে বড় নিয়ামক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গৌণ হবে, কারণ ভোটার এবং প্রার্থীদের মানসিকতাই মূল বিষয়। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা এবার আরও প্রণিধানযোগ্য হবে।”

নির্বাচন কমিশন ও আইনি সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং ইতোমধ্যে কমিশনের প্রস্তাবিত ২৪১টি সংস্কারসহ বিভিন্ন আইনি-প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যবেক্ষক নিয়োগের নীতিমালা, আরপিও সংশোধন, ভোটার তালিকা আইনসহ মোট ১৭টি নীতিমালা।

তিনি জানান, “সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে—বিএনপি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।”

আসন পুনঃবিন্যাস প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “প্রতি ১০ বছর বা আদমশুমারির পর একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে আসন পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনে বিএনপি সম্মত হয়েছে। তবে এবার প্রচলিত নিয়মেই ডিলিমিটেশন হচ্ছে।”

রাজনৈতিক আদর্শ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি মধ্যপন্থার দল। আমরা দক্ষিণ বা বাম নয়—আমরা বাংলাদেশী পন্থায় বিশ্বাসী। তাই সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সহমত গড়ে তুলতে চাই।”

তিনি বলেন, “আমরা ইসলামপন্থি দলগুলোকেও দেশের রাজনীতির অংশ হিসেবে দেখি। ধর্মীয় অনুভূতি ও জাতীয় স্বার্থ একে অন্যের পরিপূরক। কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন হবে না—এটাই আমাদের নীতি।”

সালাহউদ্দিনের আশা, "আদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংলাপের মাধ্যমে একটি সমঝোতামূলক পরিবেশ গড়ে উঠবে, যা টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।"

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর