সত্য প্রকাশে এক চুলও পিছপা হবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের।
সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল কাদের লেখেন, “সত্য আজ নয় কাল প্রতিষ্ঠা হবেই। সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে কেউ পিছু হটতে পারে না। যে যা বলার বলুক, আমি এক চুলও পিছপা হব না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমি যখন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অপকর্ম, অপরাজনীতি সামনে তুলে ধরলাম, তখন আমার যুক্তির জবাব না দিয়ে অনেকে প্রচার করতে শুরু করল—আমি নাকি ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, ডাকসুর জন্য কাজ করছি। যাদের সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই, তারাই অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে এনে আমাকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
হাসিনা সরকারের সময়কার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, “আমি হলে থাকতে পারিনি, বাইরে দুর্দশায় দিন কাটিয়েছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, জেল খেটেছি, যার ফলে একাডেমিক বছরও নষ্ট হয়েছে।
এত কিছুর পরও এক দিনের জন্যও লড়াই থেকে পিছিয়ে যাইনি। সকালে মার খেয়েছি, বিকালে আবার রাজপথে ফিরে গেছি। আর্থিক অনটনও আমাকে থামাতে পারেনি। আমি কারও কাছে একবারের জন্যও হাত পাতিনি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চালানো প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। তবে আমার আল্লাহ জানেন, আমি কতটা সৎ।
যতদিন ভেতরে সত্য থাকবে, ততদিন বাইরে ভয় থাকবে না। সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়েই যাব।”
এ ছাড়া, ছাত্রশিবির ইস্যুতে রোববার দিবাগত রাতে দেওয়া এক পোস্টে আব্দুল কাদের দাবি করেন, “শিবিরের অনেক নেতাকর্মী একসময় ছাত্রলীগ করতেন।
তারা ‘আইডেন্টিটি ক্রাইসিস’ থেকে বের হতে গিয়ে অতিউৎসাহী ভূমিকা নিতেন। ছাত্রলীগের নিপীড়নের সঙ্গে শিবিরও অনেক সময় জড়িয়ে পড়ত।”
এর জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্ট সাদিক কায়েম লেখেন, “যদি কেউ কোনো সময় ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে শিবিরে যুক্ত হয়ে পরবর্তীতে শিবিরবিরোধী ভূমিকা নেয় বা ছাত্রলীগে যোগ দেয়, তবে তাদের সব কর্মকাণ্ডের দায় শিবিরের ওপর চাপানো কতটা যৌক্তিক?
এসআর
মন্তব্য করুন: