জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’–এর খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বিএনপি খসড়ার সঙ্গে একমত প্রকাশ করলেও, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)
কিছু বিষয়ের বিরোধিতা করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনায় দলগুলোর পক্ষ থেকে এসব প্রতিক্রিয়া উঠে আসে।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আলোচনার শুরুতে জানান, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করতে চায় কমিশন।
আলোচনায় বিএনপি জানিয়েছে, খসড়ায় উল্লিখিত অঙ্গীকার ও তা নির্বাচিত সরকারের প্রথম দুই বছরে বাস্তবায়নের প্রস্তাবে তারা সম্মত।
অন্যদিকে, জামায়াত বলেছে, নির্বাচনের আগেই সনদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
এনসিপির অবস্থান আরও কঠোর; তারা বলেছে, নির্বাচনের পূর্বে মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া দলটি সনদে সই করবে না।
সংলাপে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো ও প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে। ‘র্যাঙ্কড চয়েস’ পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা থাকায় কমিশন বিকল্প হিসেবে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়।
এ ছাড়া, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন আগের মতো ৫০টি রাখার বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও, আসনসংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার প্রস্তাবে সকলেই রাজি হলেও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে।
এদিকে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐক্যমত্য তৈরি হয়নি।
ঐকমত্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সনদ চূড়ান্তকরণের সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় তারা দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: