বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটলে দেশে আবারও জাতীয় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণসভা’য় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এর যেকোনো একটিতে ব্যর্থতা বা বিচ্যুতি জাতীয় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত আমির বলেন, “যারা খুন করেছে, তাদের যেন ন্যায্য শাস্তি হয় এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা হয়। এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী দলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
সরকার গঠন বা বিরোধী দলের অবস্থান—যেখানেই থাকুক, জামায়াতের ভূমিকা হবে “স্বচ্ছ, ন্যায়নিষ্ঠ ও নির্ভীক” বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“আমরা কেবল আল্লাহকেই ভয় করি। দায়বদ্ধ থাকব নিজের বিবেক এবং দেশের জনগণের কাছে। অন্যান্য দলগুলোর কাছ থেকেও আমরা একই রকম নৈতিক দায়বদ্ধতার প্রত্যাশা করি।”
তিনি আরও বলেন, “কে সরকার গঠন করবে তা বড় বিষয় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো—যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা যেন জাতির আমানতের মর্যাদা রক্ষা করে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পটভূমিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “এই অপরাধগুলোর যথাযথ বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। শহীদ পরিবারগুলোর পক্ষ থেকেও একই দাবি রয়েছে—তারা অন্তত কিছু অপরাধীর বিচার দেখতে চান।”
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের দিকে ইঙ্গিত করে শফিকুর রহমান বলেন, “ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিংয়ে কিছু অপূর্ণতা ছিল। সেগুলো দূর করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে অতীতে যা ঘটেছে, সেটি যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন বিচার চাই, যেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, সত্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে রায় দেওয়া হবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: