ফলোআপ চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে যেকোনো সময় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যেতে হতে পারে—এই বিবেচনায় তার জন্য যুক্তরাজ্যের মাল্টিপল ভিসার আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তাও চেয়েছে বিএনপি।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার লন্ডনের আগের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুনভাবে ভিসা চেয়ে আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, “ম্যাডামের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই মাল্টিপল ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”
তবে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন, তখন থেকেই চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে তৎকালীন সরকার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি, মুক্তির শর্ত হিসেবে দেশেই চিকিৎসা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া।
পরে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান তিনি।
সেখানে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের কিংস্টনের বাসায় ওঠেন এবং সেখানেই সাড়ে তিন মাস ফলোআপ চিকিৎসা চলে।
চার মাস পর, গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার সামান্য অবনতি হলে ২৩ জুলাই রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে আবারও লন্ডনে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তার মেডিকেল বোর্ডে আলোচনা হয়। এরপরই মাল্টিপল ভিসার আবেদনের সিদ্ধান্ত আসে।
এসআর
মন্তব্য করুন: