পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ছয়টি মামলা বিচারের জন্য পৃথক দুটি আদালতে বদলি করা হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাই এসব মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ ও বিশেষ জজ আদালত-৫-এ তিনটি করে মামলা পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত রোববার (২১ জুলাই) মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে। তারা হলেন—ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
এছাড়া মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে—গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের বিভিন্ন সাবেক ও বর্তমান সদস্য, পরিচালক, উপপরিচালকসহ মোট ২০ জনকে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারপ্রধান হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কে ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা কেউ বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ৩ আগস্ট ১০ কাঠার একটি প্লট (প্লট নম্বর ০০৯) বরাদ্দ পান। তার ছেলে জয় (প্লট ০১৫), মেয়ে পুতুল (প্লট ০১৭), বোন শেখ রেহানা (প্লট ০১৩), রেহানার ছেলে রাদওয়ান (প্লট ০১১) এবং মেয়ে আজমিনা (প্লট ০১৯) ১০ কাঠা করে প্লট পান। বরাদ্দপত্র ইস্যুর তারিখ ও রেজিস্ট্রির তথ্য অনুসারে, এসব প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
চলতি বছরের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পৃথকভাবে ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। এসব মামলায় দণ্ডবিধি ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: