বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি’ নামের একটি দলের কিছু ব্যক্তি সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মন্তব্য করছেন।
এ সব মন্তব্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে তারেক রহমানকে নিয়ে কথিত অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল। জনগণের ভালোবাসায় এ দল এখনও শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।”
তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “একটি দলের নেতা বলছেন—আওয়ামী লীগ গেছে যেই পথে, বিএনপিও যাবে সেই পথে। বিষয়টি এতটা সহজ নয়। বাংলাদেশ বিএনপির স্থায়ী ঠিকানা। যারা এসব বলছেন, তারাই এক সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন।”
২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি প্রশ্ন করেন, “তখন চরমোনাইয়ের পীর কোথায় ছিলেন? মুসলমানদের পক্ষে কি তিনি দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়াননি। কিন্তু বিএনপি দাঁড়িয়েছিল।”
জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, “একটি দল আছে যারা মুখে লম্বা কথা বলে, কিন্তু কাজের বেলায় পিছিয়ে। কারা কোথা থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়েছে, আমরা জানি। এসবের হিসাব একদিন হবে।”
তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে। কেউ চাইলেই বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু। সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ অন্যান্য নেতারা।
এসআর
মন্তব্য করুন: