[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যা: যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজন বহিষ্কৃত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫ ১:০৪ এএম

লোগো

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি

দলটি জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া চারজন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড রোমহর্ষক ও নৃশংসতম। কোনো দুষ্কৃতিকারীর অপরাধের দায় বিএনপি নেবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পরপরই ভিডিও ফুটেজে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নোংরা চর্চা।”

চারজন বহিষ্কৃত

এ ঘটনায় পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল জানিয়েছে, বহিষ্কৃত চারজন হলেন—

  • রজ্জব আলী (পিন্টু): যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ু বিষয়ক সহসম্পাদক
  • সাবাহ করিম (লাকি): ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক
  • অপু দাস: চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব
  • কালু ওরফে ‘স্বেচ্ছাসেবক কালু’: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা

যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, “বহিষ্কৃতদের কোনো অপকর্ম বা অপরাধের দায় সংগঠন বহন করবে না। তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রাখা যাবে না।”

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনও পৃথক বিবৃতিতে অপু দাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ড ও পুলিশি তদন্ত

বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে জনসমক্ষে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মাথা ও বুক লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া এবং পিটিয়ে হত্যা করার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক বিরোধ ও পুরনো শত্রুতার সম্ভাবনা রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দলীয় অবস্থান

বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, কোনো অপরাধে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শনিবার তিনটি অঙ্গসংগঠন এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দলীয় অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরবে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর