[email protected] শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২

কাঁদলেন হাসনাত, আবেগে কাঁপল পুরো জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৫ ৮:২২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নাটোরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

 তার কান্নার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং হাজারও মানুষকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।

সোমবার (৭ জুলাই) ‘জুলাই পদযাত্রা ২০২৪’-এর সপ্তম দিনে এনসিপির বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ও শহরের মাদ্রাসা মোড়ের স্বাধীনতা চত্বরে পথসভা শেষে বিকেলে একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া নাটোরের আটজনের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা শারওয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল, নাটোর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ জার্জিস কাদির এবং সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়কারী ও নাটোর চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মান্নাফ।

মতবিনিময়ের সময় নাটোরে ৫ আগস্ট নিহত কলেজছাত্র মিকদাদ হোসেন খান আকিবের পিতা, নাটোর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য শুনে অঝোরে কাঁদতে থাকেন হাসনাত আবদুল্লাহ। একপর্যায়ে তিনি অধ্যক্ষকে জড়িয়ে ধরেন।

সোমবার রাত থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ও ছবিতে হাসনাতের কান্নার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন—"অন্যের সন্তান হারানোর বেদনায় যে ব্যক্তি এমনভাবে কাঁদতে পারেন, তিনি কখনোই খারাপ মানুষ হতে পারেন না।"

এনসিপির এ আয়োজন এবং হাসনাতের মানবিকতা সাধারণ মানুষের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকেই।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর