মিরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল-ছাত্রদলের ৪ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম মণিপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের এক সাবেক কর্মীর বাসায় ঢুকে চাঁদা দাবির অভিযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
রোববার (৬ জুলাই) রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম একসময় শ্রমিক লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তার পরিবারের অভিযোগ, রোববার রাতে ১০–১৫ জনের একটি দল বাসায় হানা দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা হুমকি দিয়ে বলে, "তুই আওয়ামী লীগ করিস, তোরে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব। বাঁচতে হলে টাকা দে।" প্রাণের ভয়ে বিভিন্নভাবে মোট পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেন সিরাজুল ও তাঁর স্ত্রী।
চাঁদাবাজির ঘটনায় মিরপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মিরপুর থানা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান ওরফে মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক তাবিত আহমেদ আনোয়ার (তাবিত), যুবদল কর্মী রতন মিয়া এবং ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ইসমাইল হোসেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ১৬ হাজার টাকা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা ইসলাম সোমবার সকালে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিরা রাত ১০টার দিকে বাসায় ঢুকে সিরাজুল ও তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করেন।
পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ২০ হাজার টাকা দেন। পরে পাশের ফ্ল্যাট থেকে ধার করে আরও তিন লাখ টাকা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা এবং ছেলেমেয়ের মাধ্যমে আরও দেড় লাখ টাকা দেন তারা।
রাত তিনটার দিকে অভিযুক্তরা পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বাসা ছাড়ার সময় পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে চারজনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ রোমন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং র্যাবের সহযোগিতায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাহানারা ইসলাম বাদী হয়ে মোট ১২-১৪ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: