বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বের কোনো দেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার নজির নেই।
তবে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে বিএনপির অভ্যন্তরীণ নীতিমালায় নির্ধারিত হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
রোববার (৬ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন,
“দেশে যাতে পুনরায় কোনো স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদী শাসনের উৎপত্তি না ঘটে, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই নীতি গ্রহণ করেছি। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেউই ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে পারবেন না।”
তিনি আরও বলেন,
“রাষ্ট্র পরিচালনায় সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, জাতীয় কনভেনশন কাউন্সিল (এনসিসি)–জাতীয় ঐক্যের কিছু ধারণার সঙ্গে আমরা একমত নই। এটা আমাদের স্পষ্ট অবস্থান। তবে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব বলে আমরা আশাবাদী।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন,
“জুলাই সনদ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে বহু আগে মতামত জানানো হয়েছে। যেসব পক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বা দেরি করছে, তার দায়ভার বিএনপির ওপর বর্তায় না।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আমাদের মতামত ও প্রস্তাবনা দিয়েছি। অন্যরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, সে দায় তারা নিজেরাই বহন করবে।”
জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘জুলাই সনদ’ এবং সরকার গঠনের ভবিষ্যৎ কাঠামো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি। এ প্রেক্ষিতে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: