[email protected] শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

আসন বণ্টনের সিদ্ধান্তে তারেক রহমানের ওপর আস্থা বিএনপির মিত্রদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৫ ২:১১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন কিংবা নির্বাচনি সমঝোতার বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দিতে চান দলের মিত্র জোট ও শরিক দলগুলোর নেতারা।

যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী এসব দলের নেতাদের মতে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে তারেক রহমানই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি নিয়মিতভাবে শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে। এসব বৈঠকে দলটির নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে মিত্ররা জানিয়েছেন, নির্বাচনি প্রস্তুতি, আসন সমঝোতা ও ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে তারা বিএনপির সিদ্ধান্তে আস্থা রাখেন। যদিও এখনই চূড়ান্ত সমঝোতার কথা বলছে না বিএনপি।

আসন নিয়ে চাপা অস্বস্তি, তবে সমঝোতার প্রত্যাশা
সূত্র জানায়, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে সব আসনেই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমনকি শরিক দলের নেতাদের নিজ নিজ এলাকায়ও বিএনপি নেতাদের প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে, যা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। তবুও শরিকরা এখনই আসন দাবি না তুলে মৌখিক আশ্বাসে নির্বাচনি মাঠে সক্রিয় থাকতে চান।

বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষ থেকে শরিকদের জানানো হয়েছে, সবকিছু অনুকূলে থাকলে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরপরই চূড়ান্তভাবে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। দলটির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যারা আন্দোলনে বিএনপির পাশে ছিলেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। এমনকি ভবিষ্যতে সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ থাকবে।


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, "বিএনপি এখনো আসন নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদের সঙ্গে ফরমালি জানিয়েছে, আলোচনা শুরু হয়নি। তবে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি আমাদের চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছু সময় লাগবে।"

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, "আমরা যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আশা করছি, বিএনপি এ সম্পর্কের মূল্যায়ন করবে।"

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, "আসন নিয়ে বিএনপি যথাসময়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে। শরিকদের সম্মানজনকভাবে আসন দেওয়া হবে। নির্বাচন ও জাতীয় সরকার গঠন—দুই ক্ষেত্রেই বিএনপির লক্ষ্য, শরিক দলগুলোকে অংশীদার করা।"

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, "আসন নিয়ে হালকা আলোচনা হয়েছে। মূল আলোচনা হবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশ্বাস দিয়েছেন, আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবেন। যদি কারও জন্য আসন না-ও থাকে, উচ্চকক্ষ (দ্বিতীয় কক্ষ) তো আছেই।"

বিএনপির মিত্রদের আশা, আসন্ন নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা হবে। আর সেই দায়িত্বই বর্তেছে তারেক রহমানের ওপর। যদিও আসন বণ্টন এখনই চূড়ান্ত হচ্ছে না, তবে শরিকরা চাইছেন—সঠিক সময়ে যেন তারা যথাযথ মূল্যায়ন পান। একইসঙ্গে তাঁরা বিশ্বাস করছেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর ঐক্য গড়েই অংশ নেবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর