[email protected] শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

জুলাই সনদ ঘোষণা না হওয়ায় ছাত্রনেতাদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৫ ৮:৩৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ‘জুলাই সনদ’ এখনো প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

তাঁদের মতে, এই সনদ নিয়ে সরকার সময়ক্ষেপণ করছে এবং শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পায়রা চত্বরে ‘প্রাগ-তরুণ ইন্টেলেকচুয়ালদের পাঠশালা’ আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র: শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকিবুর রনি এবং ছাত্রদলের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সাইফ রুবাব।

বক্তব্যে উমামা ফাতেমা বলেন, “গত ৩১ ডিসেম্বর জুলাই সনদ ঘোষণার আশ্বাস মিললেও তা ভেস্তে যায়। এরপর সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ৫ আগস্টের ঐক্য আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখালেও, ইন্টেরিম সরকার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ। স্পষ্ট করে বলছি, ‘জুলাই সনদ’ কোনো দলের একচ্ছত্র মালিকানা নয়।”

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “জুলাই শুধু একটি সময় নয়, এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। শাসনের শৃঙ্খলার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, জুলাই তার প্রতিফলন। এই সনদে সব মত-পথের মানুষের স্বপ্ন, আত্মত্যাগের প্রতিফলন থাকা উচিত।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাহিদ আহসান বলেন, “সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাইলেও একবারের জন্য ছাত্র সমাজকে ডাকেনি। অথচ জুলাইয়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরাই ছিলেন সবচেয়ে সক্রিয়। এমনকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণ দিয়েছেন—তাঁদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি।”

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, “১৯৬৯, ১৯৯০ বা ২০২৪—সব আন্দোলনই ছিল গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু এবারই প্রথম এক গণহত্যাকারী আরেক গণহত্যাকারীকে দোষারোপ করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে। এটি ঐতিহাসিক বিকৃতি।”

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, ছাত্র সমাজের অংশগ্রহণ ছাড়া ‘জুলাই সনদ’ কখনোই পূর্ণতা পাবে না। তাঁরা সনদ চূড়ান্ত করার আগে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানান। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর