দেশের স্বার্থে যেকোনো বিষয়ে ছাড় দেবে বিএনপি: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দলকে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

দলের সুনাম রক্ষায় আমরা আপসহীন। তবে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি যে কোনো বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত।”

বুধবার (২ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা চাই, আগামী দিনের ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার যেন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে। এই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাই ভোটের অধিকার হরণে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না—এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”

বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ—এই মর্মে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে নীতি ও আদর্শ নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “যখন মানুষ জানে আপনি বিএনপির নেতা বা কর্মী, তখন তাদের মনে একটি স্বাভাবিক প্রত্যাশা তৈরি হয়। আমাদের সেই প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে চলতে হবে। আমি সবসময় বলি—জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের হয়ে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের আস্থা ও সমর্থন ধরে রাখা।”

রাষ্ট্রের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে প্রথম প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “বিএনপি বড় দল, দায়িত্বও বড়। গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত করতে আমরা ছাড় দিয়েছি। আমরা যদি ছাড় না দিতাম, অন্যরা আজ এতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলতে পারত না।”

তিনি আরও বলেন, “যখনই দেশ সংকটে পড়েছে, বিএনপি তখনই রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর সরকারহীন এক সময়েও বিএনপি দেশের শৃঙ্খলা রক্ষা করেছে।”

দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের ভেতরেও গণতন্ত্র বজায় রাখতে চাই। মতের অমিল থাকলেও আমরা তা শুনি, গুরুত্ব দিই এবং সমাধানের চেষ্টা করি। এটাই গণতন্ত্রে আমাদের বিশ্বাসের প্রমাণ।”

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।