[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন জাতীয় ঐক্যের বদলে বিভক্তি আনতে পারে: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৮ এএম

সংগৃহীত ছবি

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তি তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বিষয়টি নিয়ে সব রাজনৈতিক নেতাকে গভীরভাবে চিন্তা করার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “বিশ্বের কিছু দেশে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা কার্যকর হলেও বাংলাদেশের ভূগোল, সমাজ ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এটি কতটা উপযোগী, তা খতিয়ে দেখা দরকার। এই ব্যবস্থা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার বদলে বিভক্ত করতে পারে এবং একটি অস্থিতিশীল শাসনব্যবস্থার জন্ম দিতে পারে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই ব্যবস্থার আড়ালে পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিস্ট অপশক্তি পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।”

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “গুম, খুন, অপহরণ, মামলা ও হামলার মধ্যেও আমাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপি কর্মীসহ হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছেন, যারা ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্য জীবন দিয়েছেন।”

তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, “বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শহীদদের স্মরণে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণ করা হবে।”

তারেক রহমান বলেন, “জাতীয় স্বার্থে ঐক্য অপরিহার্য, যদিও সব ইস্যুতে মতৈক্য থাকা জরুরি নয়। ৫ আগস্টের গণআন্দোলন তার বড় উদাহরণ।”

তিনি বলেন, “এখনই সময় শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করার। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের এই সুযোগ আর হাতছাড়া করা যাবে না।”

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার একটি জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের পথ তৈরি করছে এবং রাজনৈতিক সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচারের কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যতের সরকার অব্যাহত রাখবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, “সংস্কার প্রস্তাব ভালো হলেও বাস্তব প্রেক্ষাপটে সব প্রস্তাব উপযোগী কি না, তা রাজনৈতিক দলগুলোর বিবেচনায় নেওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায়, যেখানে জনগণই হবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু।

স্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত জনগণ নিজের প্রতিনিধি নিজেই বেছে নেবে, এবং নির্ধারিত সময় শেষে ব্যর্থদের প্রত্যাখ্যানের অধিকার রাখবে।”

সকল রাজনৈতিক নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ইচ্ছেমতো শর্ত না বাড়িয়ে আসুন শহীদদের চেতনা ধারণ করি। প্রতিশোধ নয়—আসুন প্রতিযোগিতা হোক আলোর, যেখানে ফ্যাসিবাদের অন্ধকার থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসবে গণতন্ত্রের পথে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর