news.protidinerbangla22@gmail.com বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৪ আশ্বিন ১৪৩১

দেশ সংস্কারে কতদিন লাগবে তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন : ফয়জুল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২৪ ১:৩৩ এএম

দেশ সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কতদিন লাগবে তা নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (আইএবি) সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, অন্তর্বর্তীকালীণ সরকার তাদের সংস্কার কার্যক্রমের ধরণ ও প্রক্রিয়া কি হবে এবং কতদিনের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করবে, তা অতিদ্রুত প্রকাশ করবে এবং জাতীয় নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।

মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের পতন পরবর্তী দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ষক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ। 

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম এই পাঁচটি ক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের পর নির্বাচন দিবেন বলে জানিয়েছেন।

আমরাও মনে করি এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। কারণ, বিগত সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব প্রতিষ্ঠানগুলো কতদিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবে তা নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ৩টি ভুয়া জাতীয় নির্বাচন করেছে। এসব একতরফা, ভুয়া, পাতানো ও ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করেছে।

যারা তাদের এসব অবৈধ ও প্রহসনের নির্বাচনে সহযোগিতা করে আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছে তারাও সমান অপরাধী। ৩টি অবৈধ ও প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনাকারী ৩টি নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা তাদের অবৈধ কাজের কুশিলব ছিল, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

যাতে ভবিষ্যতে কেউ অবৈধ নির্বাচনের সাহস না করে। পাশাপাশি আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিদায় পূর্বক বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে চাই।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর