[email protected] রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
১৫ আষাঢ় ১৪৩২

মুক্তিযোদ্ধাকে যারা জুতার মালা পরায়, তাদেরও একই পরিণতি হবে- কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫ ১২:২৩ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১২:২৭ এএম

সংগৃহীত ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরায়, তারা একদিন ঠিক একই পরিণতির শিকার হবেন।”

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিমের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধকে ‘গন্ডগোলের বছর’ বলা বা হানাদার বাহিনীকে ‘পাকবাহিনী’ বলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভুয়া’ বলার সুযোগও নেই। যতদিন তাঁরা বেঁচে থাকবেন, ততদিন তাঁদের সম্মান জানাতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “আর কোনো যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আমরা মানব না। যারা এখন মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই করছেন, তাঁদের বয়সই বা কত? মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ করতে হবে।”

বঙ্গবীর আরও বলেন, “আমার বক্তব্য শুরু করার আগে ‘জয়বাংলা’ বলা উচিত ছিল। এটি শুধু আওয়ামী লীগের নয়, গোটা বাংলাদেশের স্লোগান—মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। আওয়ামী লীগ এটিকে দলীয় শ্লোগানে রূপ দিতে গিয়ে ভুল করেছে।”

টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি অভিমত প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের গৌরবময় পূর্বসূরি—মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, আবদুল মান্নান, শাহজাহান সিরাজদের ভুলে যেতে বসেছি। লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকীর পর হয়তো আর কেউ টাঙ্গাইলের পরিচয় বহন করবে না।”

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান একে অপরকে কখনো অসম্মান করেননি। কিন্তু এখন আমরা দুজনকেই অবমাননা করি। শেখ হাসিনা কাউকে সম্মান করতে শেখেননি বলেই আজ এই রাজনৈতিক পরিণতির মুখে পড়েছেন।”

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন। এতে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর খান মেনু, আবুল কালাম আজাদ (বীর বিক্রম), ফজলুল হক (বীর প্রতীক) প্রমুখ। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর