জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
পাশাপাশি সহিংস ঘটনার অভিযোগে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
গত ১৮ জুন রাজশাহী জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র আট দিনের মাথায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠান রাশেদুল। তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন এবং দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলা ও মহানগর কমিটির মধ্যে মতবিরোধ বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে গত বুধবার রাতে রাশেদুলের মালিকানাধীন এক রেস্তোরাঁয় জেলা নেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে নাহিদুল ইসলাম সাজু অপর যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমকে প্রকাশ্যে লাথি মারেন, যার ফলে ফিরোজকে হাসপাতালে নিতে হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার নাহিদুলকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না।
এক ভিডিও বার্তায় নাহিদুল নিজেকে রাজশাহীর "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের" আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, এনসিপির রাজশাহী কমিটিতে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দলীয়ভাবে ব্যবস্থা না নিলে এনসিপিকে রাজশাহীতে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, রাশেদুল ইসলাম জানান, “আমি কোনোদিন রাজনীতি করিনি। হঠাৎ এত বড় দায়িত্ব পেয়ে বুঝতে পারছি এটা আমার জন্য নয়। তবে এখনো দলের সঙ্গে আছি এবং মঙ্গল কামনা করি।”
উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন এক দিনের সফরে রাজশাহী যান। তিনি জানান, সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রাশেদুলের পদত্যাগ এখনো গৃহীত হয়নি, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: