গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার (৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (টিজি-৩৩৯) যোগে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দর থানা সূত্র কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অবতরণের পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইলচেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান এবং সেখানে কিছু সময় অপেক্ষার পর রাত পৌনে ৩টার দিকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় তিনি শার্ট ও লুঙ্গি পরিহিত ছিলেন এবং তাকে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মে মাসের শুরুতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ডে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার এবং শ্যালক ডা. আ.ন.ম. নৌশাদ খান। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ীই তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তার বিদেশযাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

তবে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে, যারা আবদুল হামিদের দেশত্যাগে সহযোগীদের শনাক্তে কাজ শুরু করে।

উল্লেখ্য, মো. আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষে আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বাসায় বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের একটি মামলায় তার নাম উঠে আসে, যেখানে ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে তার পাশাপাশি আরও কয়েকজন রাজনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়।

তার বিদেশ যাত্রা ও সেই প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।