সরকার চাইলে জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব ছিল: সালাহউদ্দিন

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন।

তার এই ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (৬ জুন) রাতে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে, তা জাতির প্রত্যাশা পূরণ করেনি। ৫০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। সরকার চাইলে সর্বোচ্চ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন দিতে পারত, কিন্তু তা করা হয়নি।”

প্রধান উপদেষ্টা ভাষণে বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি ঘোষণা করছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত রোডম্যাপ দেবে।”

সালাহউদ্দিন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, “বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশিদের যুক্ত করার বিষয়ে নানা ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও, এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

যাদের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে, তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছে—যেখানে কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব কিংবা নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, অপপ্রচারের শিকার না হয়ে সরকারকে সমর্থন করুন এবং অযৌক্তিক বিরোধিতাকে প্রতিহত করুন।