আলোচনার জন্য আবারও যমুনায় বিএনপিকে আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে আবারও বিএনপিকে আলোচনায় ডেকেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আগামী ২ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে কৃষকদলের এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “২ জুন প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকতার ঘাটতি নেই, কিন্তু বাস্তব অগ্রগতি খুবই সীমিত।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে—এটাই জনগণের স্পষ্ট দাবি। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।” সালাহউদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, “ফ্যাসিবাদী কূটচালের মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

এর আগে, গত ২৪ মে যমুনা ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। ওই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা তিনটি মূল বিষয় ছিল—সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছিলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে জড়িত নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া—এটি এখনই শুরু হতে পারে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। আমরা চাই এই সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত সংস্কার প্রস্তাব দিক। জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় আনে, তাহলে সেই সংস্কার আমরা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।”

রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নিলেও এ পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানো যায়নি বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে এমন ধারাবাহিক সংলাপ ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।