সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়: অন্তর্বর্তী সরকারকে জামায়াতের আহ্বান

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ বিচার ও কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিচার ও নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কার ছাড়া যে কোনো ধরনের নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে না।

শনিবার (৩১ মে) কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুই দশক পর আয়োজিত এ সম্মেলনে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “২০১৪ সালে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে বিনা ভোটের নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, আর ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করেছে সরকার। জনগণ সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চায়, কিন্তু তারা যেনতেন নির্বাচন চায় না।”

তিনি আরও বলেন, “যারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করেছে, সেসব অপরাধীদের বিচার না করে আরেকটি নির্বাচন আয়োজন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি—আগে বিচার, তারপর কাঠামোগত সংস্কার, এরপর নির্বাচন।”

ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার ভোট আমি দেব, যাকে ইচ্ছে তাকে দেব—এটাই গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বিগত নির্বাচনে ভোটারদের সে অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা স্লোগান দিয়েছিল ‘তোমারটাও আমি দেব’, এভাবে ভোটব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সুতরাং, মৃত গণতন্ত্র ও মৃত ভোটব্যবস্থায় আর নির্বাচন নয়।”

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

সম্মেলন ঘিরে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ অংশ নেন, যা স্থানীয়ভাবে একটি বড় রাজনৈতিক জমায়েতে রূপ নেয়।