নির্বাচনের আয়োজন ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে টালবাহানা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, জনগণের রায় বাস্তবায়নের জন্য একটি নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক সরকার অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের নাটকীয়তা চলছে— কখনো অল্প সংস্কার, কখনো অতিরিক্ত সংস্কারের গল্প শুনিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে।
বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত 'তারুণ্যের সমাবেশে' ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার আবারও পুরনো কৌশলে ফিরে যাচ্ছে। তারা চায় না জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু বিএনপি তা হতে দেবে না। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ। নেতারা সবাই বর্তমান সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, তারুণ্যের শক্তিকে সাথে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: