[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫ ৭:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ৭:৩৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা এবং পরে দেশত্যাগ করেন।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা এবং পরে দেশত্যাগ করেন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও শেখ হাসিনা প্রথমে পদত্যাগে অনিচ্ছুক ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলেন। ৫ আগস্ট সকালে তিন বাহিনীর প্রধান ও আইজিপিকে গণভবনে ডেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করে বলপ্রয়োগ না করার পরামর্শ দেন। এরপর শেখ রেহানা শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদা কক্ষে আলোচনা করেন এবং তাকে পদত্যাগে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শেখ হাসিনা তার ছেলের সঙ্গে কথোপকথনের পর পদত্যাগে সম্মত হন।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তখন বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী গণভবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। সময় স্বল্পতার কারণে ভাষণ রেকর্ড না করে দ্রুত হেলিকপ্টারে তেজগাঁও বিমানবন্দরের পথে রওনা হন তিনি। সেখান থেকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত গমন করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-এর তথ্য অনুযায়ী, সেদিন সন্ধ্যায় তিনি গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে চতুর্থ মেয়াদে শপথ নেন। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বিরোধীদের অংশগ্রহণ ঘিরে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর