নির্বাচনসহ তিনটি ইস্যুতে রোডম্যাপ চাইল এনসিপি

আন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’সহ বিচারব্যবস্থা সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা উচিত। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত রোডম্যাপ একসঙ্গে ঘোষণা করা জরুরি। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ প্রয়োজন।”

জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে দায়িত্বশীল আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক তালিকা প্রকাশ নিয়ে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী ৬২৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এটি আগে প্রকাশ পেলে জনমনে বিভ্রান্তি বা শঙ্কার অবকাশ থাকত না। অতীতে রাজনীতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে—যা ওয়ান ইলেভেনের সময় স্পষ্ট হয়। এটি কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং কিছু সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গুমের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিষয়ে এখনও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবিলম্বে আয়োজন করা উচিত। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা দুর্বল হয়ে গেছে। আস্থা পুনরুদ্ধার না করতে পারলে কমিশনের উচিত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।”

ছাত্র উপদেষ্টাদের বিষয়ে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সময় আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম সরকারে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আমি নিজেও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তবে সরকারের পদে থেকে তা করা অনুচিত।”

তিনি আরও বলেন, “এই দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে ঘিরে জাতীয় নাগরিক পার্টির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা আমরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।