ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটলের আশঙ্কা: বিএনপি

ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, কিছু বিতর্কিত উপদেষ্টাকে অপসারণ করা হোক—যাদের কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সম্প্রতি বলেছেন, ‘এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।’ এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”

তিনি বলেন, “দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষ সাম্য, মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।”

তবে গত সাড়ে ৯ মাসে সেই জনপ্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোশাররফ। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে আজ বিভাজনের সুর বাজছে। অথচ একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচনায় এই ঐক্য অটুট রাখা জরুরি।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। এটি এই সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা আমরা আগেও বিভিন্ন সময়ে উল্লেখ করেছি।”

ড. মোশাররফ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা—সেই লক্ষ্যেই যেন সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।