[email protected] রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুমিল্লায় বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫ ৯:৫৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় বিএনপির দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সদ্যঘোষিত ছাত্রদলের দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কমিটিতে পদবঞ্চিতদের একটি অংশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড়ে আসে এবং বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকে।

একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ কমিটি মানি না, মানবো না’ এবং ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’—এমন স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়।

পরে তারা সেখান থেকে সরে যাওয়ার সময়ও পুনরায় স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।

ছাত্রদলের বিক্ষোভকারী কয়েকজন জানান, যারা দীর্ঘ সময় ধরে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এবং সরকারি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের উপেক্ষা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তারা দাবি করেন, ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সাত বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দক্ষিণ জেলায় সভাপতি হিসেবে কাজী জোবায়ের আলম জিলানী এবং সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ধীমান এবং মহানগরে নাহিদ রানা ও ফায়াজ রশিদ প্রিমুকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পদবঞ্চিতরা অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং টানা কয়েক দিন বিক্ষোভ মিছিল করে।

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সদ্যবিদায়ী সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, “কমিটি ঘোষণার পর থেকেই পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। তবে কারা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে, সে বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।”

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, “কার্যালয়টি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। আমরা সম্প্রতি এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ ঘটনা হলেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর