চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১০ মে) রাত ৯টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তারেক রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিকে, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, "তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই—এটি আমরা সরকারের কাছ থেকে স্পষ্টভাবে জানতে চাই।"
তিনি বলেন, "বিদেশ থেকে এনে অনেককে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে একজন নেতা, যিনি বিদেশে থেকেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তার স্বদেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? জাতি জানতে চায়, তার ফেরা আটকে রাখার কারণ কী?"
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূর এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ওই সমাবেশে গয়েশ্বর আরও বলেন, "রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যার মূল উৎস মনমানসিকতায়।"
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "মুসলিম লীগ পাকিস্তান তৈরির প্রধান কারিগর ছিল, আজ তাদের অস্তিত্ব নেই। জাসদ ছিল বড় দল, এখন বিভক্ত। ইউপিপি বিলীন হয়ে গেছে। যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা ইতিহাস থেকেই মুছে যায়।"
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, "আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই জনগণ ঠিক করবে কে গ্রহণযোগ্য, আর কে নয়। আজ যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছেন, ভবিষ্যতে তারাই যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চায়, তখন কী হবে? নিষিদ্ধ না করে জনগণের রায়েই সবকিছু নির্ধারিত হওয়া উচিত।"
তিনি বলেন, "জামায়াত এখনো নিষিদ্ধ দল হলেও সরকার তাদের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলার যৌক্তিকতা কোথায়? এই সরকার কারা চালাচ্ছে সেটাও স্পষ্ট নয়। যারা ১/১১ এনেছিল, তারাই আজও পর্দার আড়াল থেকে দেশের রাজনৈতিক নাটক পরিচালনা করছে।"
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, "দুইবারের প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি বিদেশে চলে গেলেন, অথচ কোনো সংস্থা জানত না? এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সরকারের সম্মতি ছাড়া কোনো রাষ্ট্রপ্রধান দেশের বাইরে যেতে পারেন না।"
এসআর
মন্তব্য করুন: