বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম।
‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ (আপ বাংলাদেশ) নামের এ সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার (৯ মে)।
সেদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দলটির প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।
কালবেলাকে তিনি জানান, “আমাদের সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হবে ৯ মে। ওইদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা, এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠকরা উপস্থিত থাকবেন।”
এর আগে, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ গত মার্চে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেন। পরে ১০ এপ্রিল তিনি ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ নামটি ঘোষণা করেন এবং নিজেকে সংগঠনটির প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দেন।
একই পোস্টে জুনায়েদ লেখেন, “জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে আপ বাংলাদেশ গঠিত হচ্ছে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, বরং এটি একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম, যা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হবে।”
তিনি আরও জানান, পিলখানা, শাপলা চত্বর এবং জুলাই গণহত্যার বিচার, ‘ফ্যাসিবাদী দল’ হিসেবে আখ্যায়িত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, এবং আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলা আপ বাংলাদেশের প্রাথমিক লক্ষ্য।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন— বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠন এবং একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পুনর্গঠন।
জুনায়েদ বলেন, “আমরা রাজনীতিতে পেশিশক্তি, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের যে চক্র, সেটিকে ভেঙে ফেলতে চাই। আমাদের প্রস্তাবনায় ৪টি ‘রাহুগ্রাস’ থেকে মুক্তির অঙ্গীকার থাকবে— ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ এবং দুর্নীতি।”
‘আপ বাংলাদেশ’-এর প্রস্তাবনায় থাকবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ এক বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি।
এসআর
মন্তব্য করুন: