জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে জটিলতা ক্রমেই বেড়েই চলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি তাদের অবস্থান একাধিকবার পরিষ্কার করেছে। দলটির স্পষ্ট বক্তব্য, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এছাড়া, নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও চায় না বিএনপি। একইসঙ্গে দলটি বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার (ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট) পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে। দলটি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির দাবিদার।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করছে—প্রথমে বিচার বিভাগসহ মৌলিক খাতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না করা হলে জাতীয় নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে। তারা আগে স্থানীয় সরকার ও গণপরিষদ নির্বাচন চায় এবং আনুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান হলো—জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু জরুরি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এই বিষয়ে জামায়াতের অবস্থানও প্রায় এক। তবে এনসিপি চায়, নির্বাচন আগে নয়; আগে মৌলিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু—নির্বাচনের সময়সীমা, স্থানীয় নির্বাচন এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার—নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার বলেন,
"বিএনপির অবস্থান খুবই স্পষ্ট—আমরা দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চাই এবং নির্বাচনের আগে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। যেসব সংস্কারের বিষয়ে সব দল একমত হবে, আমরা সেগুলোর চার্টারে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এরপর সেই ভিত্তিতেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। নির্বাচনের পর বাকি সংস্কার নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: