নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ আলম শাহিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী সরলের বিরুদ্ধে।
প্রাণ ভিক্ষা ও চাঁদা দেওয়ার মুচলেকার বিনিময়ে তিনি রক্ষা পান বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
আহত শাহ আলম শাহিন (২৭) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সানারপাড় এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে।
অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী সরল (৪০) নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই ও মারামারিসহ ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবহন টিকিট কাউন্টার নিয়ন্ত্রণ ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। শাহিন ওই এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালু করার উদ্যোগ নিলে সরল চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দেওয়ায় রাতে সরলের ভাই নিশাদ ও সহযোগী সুমন, মেহেদী, হেলাল, রুদ্র, রানা ও মিলন তাকে তুলে নিয়ে যায়।
শাহিনকে একটি প্রাইভেটকারে করে মিতালী মার্কেটের একটি ভবনের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তাকে লোহার পাইপ ও হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সানারপাড়ের পিডিকে পাম্পের পাশে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শাহিন বলেন, “মারধরের একপর্যায়ে সরলের পায়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাই। তাকে বলি, যেভাবেই হোক ৫০ হাজার টাকা দেবো, শুধু আমাকে ছেড়ে দাও।
শর্ত দেওয়া হয়—এই ঘটনার কথা যেন কাউকে না বলি এবং আইনের আশ্রয় না নিই। আমার হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিডিও করে রাখে এবং হুমকি দেয়, মুখ খুললে আমাকে ছিনতাইকারী বানিয়ে দেবে।
শুক্রবার দুপুরে শাহিনের বাবা বাদী হয়ে সরলসহ আটজনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহিনুর আলম জানান, “ঘটনার খবর পাওয়ার পর রাতেই ফোর্স পাঠানো হয়, তবে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলা হয়েছে, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সরলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার সহযোগীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: