বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে প্রধান বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের ভেতরে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দলের বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে এবং দেশের ভেতরে একটি শক্তি মিলিতভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা বিখ্যাত মনীষীদের নামে থাকা স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্ধিত সভার পর তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও সুসংগঠিতভাবে পরিচালিত হবে।
খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার দক্ষ নেতৃত্বে আমরা সংগঠিত থেকেছি এবং আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি।”
বিএনপির নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা হারাতে বাধ্য হয়েছে বলেও দাবি করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে ফ্যাসিবাদী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র এখনও পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়নি। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার পর ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: