জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের দিনেই দলটির নাম, নেতৃত্ব ও কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
তবে দলের নির্বাচনি প্রতীক আপাতত প্রকাশ করা হবে না। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
দলটির শীর্ষ পদ থাকছে ছয়টি। যাত্রার শুরুতে আহ্বায়কের নেতৃত্বে ১০০ থেকে ১৫০ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ করা হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর দ্রুত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।
দলটির সম্ভাব্য নাম ও প্রতীক
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, নতুন দলের নামে ‘নাগরিক’, ‘ছাত্রজনতা’ কিংবা ‘রেভ্যুলেশন’-এর মতো শব্দ থাকতে পারে। যদিও নির্বাচনি প্রতীক এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে কলম ও শাপলার মতো প্রতীক আলোচনায় রয়েছে।
নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো
দলটি আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, ভবিষ্যতে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
দল গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ পদে ছয়জনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। যাদের মধ্যে নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলমের নেতৃত্ব প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারের আনুকূল্য নিয়ে বিতর্ক
নতুন দল গঠনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকারের সমর্থন নিয়ে দল গঠন করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।’
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এ অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ‘আমাদের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে, তবে জনগণের সমর্থন পেতে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে নতুন দলের টিকে থাকার জন্য গণতান্ত্রিক চর্চা ও স্বতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করাই হবে প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন দলটি বাস্তবিক অর্থে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: