[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

রমজানে বিএনপির যে কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০৭ এএম

ফাইল ছবি

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বিএনপি সক্রিয় থাকবে, তবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের পরিবর্তে সাংগঠনিক ও ধর্মীয় কর্মসূচিতে গুরুত্ব দেবে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ইফতার পার্টির সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সামাজিক অনুষ্ঠান এবং ‘উঠান বৈঠক’-এর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় সমর্থন জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হবে জনমত তৈরি করা এবং নির্বাচনী আবহ ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা অপতৎপরতা প্রতিরোধে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের তৎপরতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম

রমজান মাসে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করবেন।

দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আস্থা অর্জনে ক্লিন-ইমেজের সাবেক এমপি ও তরুণ ছাত্রনেতারা ইতোমধ্যে এলাকাভিত্তিক প্রচারণা শুরু করেছেন।

এছাড়া, রমজানকে সামনে রেখে দলের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হবে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূল নেতাদের মতামত শুনবেন এবং সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা দেবেন।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ইফতার আয়োজন

প্রতিবছরের মতো এবারও বিএনপি রোজার প্রথম দিনে এতিম ও আলেম-ওলামাদের সঙ্গে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে। এছাড়া, ৬ রমজান বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণকে যুক্ত করে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন, পাশাপাশি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি, প্রতিটি থানাভিত্তিক ইউনিট ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ইফতার মাহফিল আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ, জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় ঐক্য আরও সুসংহত করা হবে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক জোরদার

রমজানকে সাংগঠনিক মাস হিসেবে ধরে পরিকল্পনা করছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাবেন এবং জনগণের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবেন।

পাশাপাশি, সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিভিন্ন পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলের কাঠামো শক্তিশালী করা হবে। আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখা নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘রমজান ইবাদতের মাস, তাই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকছে না।

তবে এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার এবং সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা সরকারের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে যাবো।’

ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল মনে করেন, রমজান মাসে ইফতার পার্টির মাধ্যমে নির্বাচনী আবহ তৈরি হবে।

কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত ইফতার আয়োজন করা হবে এবং একই সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম চলবে।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় নিয়মিত সময় দিচ্ছি এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করছি। বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা দিন দিন বাড়ছে।’

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বিএনপি তার সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলবে।

আপনার অনুরোধ অনুযায়ী সংবাদটি সংশোধন করা হয়েছে। যদি আরও কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয়, তাহলে জানান।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর