[email protected] মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

২৪ কিংবা ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের নাম ঘোষণা, কারা আসছেন নেতৃত্বে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২:৪৬ পিএম

ফাইল ছবি

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে গঠিত এই দলের শীর্ষস্থানীয় পদগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

নতুন দলের নেতৃত্বে থাকবেন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় পরিচিত মুখরা।

দলের নাম চূড়ান্ত করার জন্য শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, যা খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হতে পারে।

আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হলেও প্রয়োজনে ২৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতে পারে।

ঢাকায় এই আয়োজনে অংশ নিতে দেশজুড়ে কর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শৃঙ্খলিতভাবে দল গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।

নেতৃত্বে কারা থাকছেন?

নতুন দলের নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নাম প্রায় নিশ্চিত। সদস্য সচিব পদে থাকতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও যুগ্ম সদস্য সচিব অনিক রায়।

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা যুগ্ম সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পেতে পারেন।

দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নতুন দলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন।

দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি

নতুন দলের নাম নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনমত জরিপের তথ্য পর্যালোচনা করে নাম নির্ধারণ করা হবে।

‘গণতন্ত্র’, ‘নাগরিক’, ‘জাস্টিস’, ‘বৈষম্যবিরোধী’সহ বিভিন্ন প্রস্তাব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা

নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, তবে বিকল্প হিসেবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউও বিবেচনায় আছে।

ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে দলটির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে।

এজন্য ৬৮ জনের জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং ৩০ জনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক, চিকিৎসা ও গণমাধ্যম বিষয়ক তিনটি উপকমিটিও গঠিত হয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক সংগঠন গড়তে চান।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর