বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামের সমন্বয়করা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, “এই কমিটি বাতিল করতে হবে।
যদি তা না করা হয়, তাহলে হাসনাত আব্দুল্লাহকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের একাংশের প্রতিনিধিরা, যাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী সিয়াম ইলাহি, জুবাইর মানিক ও আব্দুল বাছির নাঈম।
তারা অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় সক্রিয় থাকা কর্মীদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
সিয়াম ইলাহি বলেন, “এই কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনের নীতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যারা মাঠে ছিল, তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
জুবাইর মানিক বলেন, “আন্দোলনের প্রকৃত যোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। যারা কখনো পাশে ছিল না, তারাই নেতৃত্বে বসেছে।”
আব্দুল বাছির নাঈম বলেন, “বিচার ও আহতদের পাশে থাকা কর্মীদের উপেক্ষা করে বিতর্কিতদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
তারা তিন দফা দাবি জানান: ১. বিকেল ৩টার মধ্যে নতুন কমিটি বাতিল করে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করতে হবে। ২. তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। ৩. কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা আরও বলেন, “বীর চট্টলায় অন্যায় কোনো কমিটি টিকবে না। আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
এর আগে, সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা উত্তর ও জেলা দক্ষিণে মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
সংবাদটি সংশোধন করা হয়েছে, যেখানে ভাষাগত স্পষ্টতা বজায় রেখে মূল বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পরিবর্তন বা সংযোজন চাইলে জানাতে পারেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: