যে নৌকা ডুবে গেছে, তা আর ভাসবে না বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
"৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে এই দলটির ভূমিকা সীমিত হয়ে পড়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আসবে এবং অতীতের ভুল পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।
ইতিহাস সাক্ষী, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল জনগণের আস্থা হারিয়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে, এবং বর্তমান পরিস্থিতিও সেই বাস্তবতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক হোক।
এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছি, আইনগতভাবে যেসব দল জনআস্থার বাইরে চলে গেছে, তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।"
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমাদের প্রস্তাবের একটি অংশ ছিল—রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন পর্যালোচনা করা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বার্তা দিয়েছে, সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার। এই বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সাধারণ ঐকমত্য দেখা গেছে।"
তিনি আরও বলেন, "ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতি ও কৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে, মতবিনিময় ও বিতর্কও হতে পারে।
কিন্তু আমরা সবাই একমত যে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হবে এবং অতীতের রাজনৈতিক সংকট ও বিভাজনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা এগোতে চাই।
এসআর
মন্তব্য করুন: