ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপি প্রতিনিধি দল

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় পৌঁছেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করে।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

এদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং "ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত" মোকাবিলা করার দাবিতে সারা দেশে জেলা ও মহানগরে সমাবেশ এবং পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দলটি ১২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমাবেশের দিন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য দেয়ার স্থানও ঘোষণা করেছে।

১২ ফেব্রুয়ারি:
বিএনপির নেতারা বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ করবেন, এর মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), নজরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ), সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ফেনী), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (খুলনা), বরকত উল্লাহ বুলু (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আসাদুজ্জামান রিপন (রাজবাড়ী), সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন আলাল (পটুয়াখালী), আরিফুল হক চৌধুরী (সুনামগঞ্জ) সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেবেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (যশোর), আবদুল মঈন খান (টাঙ্গাইল), সেলিমা রহমান (মাদারীপুর), এবং অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করবেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার), শামসুজ্জামান দুদু (পঞ্চগড়), রুহুল কবির রিজভী (মানিকগঞ্জ), এবং অন্যান্য নেতারা সমাবেশে অংশ নেবেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি:
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (নোয়াখালী), সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন আলাল (সিলেট), মিজানুর রহমান মিনু (কুষ্টিয়া), ফরহাদ হালিম ডোনার (শরীয়তপুর), এবং অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেবেন।

এছাড়াও, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরও কয়েকটি জেলা ও মহানগরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিএনপির বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেবেন।

বিএনপির এই সমাবেশ ও কর্মসূচি সারাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে।