জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে পরিবারতন্ত্রের কোনো স্থান থাকবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, এতদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে ক্ষমতা নির্দিষ্ট পরিবারের মধ্যে কেন্দ্রীভূত থাকার প্রবণতা ছিল, যা নতুন ধারার রাজনীতিতে পরিবর্তন করা হবে।
তিনি বলেন, "তরুণদের নেতৃত্বে নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই নতুন রাজনৈতিক দলে কোনো পরিবারের একক আধিপত্য থাকবে না। বরং জনগণের মতামতই হবে মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি।"
সারজিস আলম আরো বলেন, বিগত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নেতারা একবার ক্ষমতায় গেলে সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেন।
ভুল ধরিয়ে দিলে সমালোচকদের শত্রু মনে করা হতো। কিন্তু নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বে আসা রাজনৈতিক দল সবসময় জনতার সঙ্গে থাকবে এবং যে কোনো ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা রাজনীতিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের শক্তি আমাদের সহযোদ্ধারা, যারা একই চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এখানে কোনো প্রজন্মগত বিভাজন থাকবে না, বরং সবাই একসঙ্গে কাজ করবে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।"
নতুন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, অতীতের ভুল চর্চা ও ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার প্রবণতা রুখে দিয়ে আমরা একটি জনতামুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই।
অতীতে রাজনীতিতে আপসের সংস্কৃতি দেখা গেছে, কিন্তু নতুন নেতৃত্ব কেবল রাজপথের আন্দোলনকেই পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নেবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আগামীর বাংলাদেশে সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করা হবে, যেখানে জনগণের স্বার্থই হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
এসআর
মন্তব্য করুন: